ইলেকশন ডিসেম্বরে হবে নাকি জুনে হবে, সেই ডিসিশন বরং জনগণের উপ...
ইলেকশন ডিসেম্বরে হবে নাকি জুনে হবে, সেই ডিসিশন বরং জনগণের উপর ছেড়ে দেওয়া হোক।
গণভোট হোক।
যেহেতু নির্বাচনই সব সমস্যার সমাধান, এই সমস্যার সমাধানও নির্বাচনেই হোক।
রাজনৈতিক দলগুলো অবশ্যই জনগণের প্রতিনিধি তবে তারাই একমাত্র জনগণ না। আমাদের মতো অ্যাপলিটিক্যাল লাখ লাখ মানুষ এই দেশে আছে।
তাদের ডিসিশনটাও জানা হোক।
ঈদ যাত্রায় কোন হয়রানি নাই। এখন পর্যন্ত সরকারকে গালি দেওয়ার জন্য কেউ গুম বা গ্রেফতার হয় নাই। জিনিসপত্রের দাম কম। ঈদের বাজারেও একটা জিনিসের দাম বাড়ে নাই। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঈদের দুইদিন আগেও ঠিক টাইমে ট্রেন ছাড়তেছে।
তো, স্বাভাবিকভাবেই আমি চাই এই সরকার বেশিদিন থাকুক। আমার মতো আমপাবলিকের তো ভাই সুবিধা।কোন নেতাকে সালাম দিতে হচ্ছে না। ক্যাডার বাহিনীর উৎপাত নাই।
আবার যারা রাজনীতি করে, তারা চাইবে রাজনৈতিক সরকার।
তাদের চাওয়ার মধ্যেও ভাগ আছে। কেউ বলছে ডিসেম্বরে ইলেকশন দাও। কেউ বলছে জুনে। কেউ বলছে সংস্কার। কেউ বলছে বিচার।
তো সব মিলাইয়াই একটা গণভোট হোক।
গণভোটের প্রশ্ন অপশন থাকে ৪ টা। ইউনূস সরকারকে কতদিনের জন্য চাই।
একটা অপশন থাকুক এই বছর জুনের মধ্যে ইলেকশন।
আরেকটা থাকবে ডিসেম্বর।
আরেকটা জুন ২০২৬।
আরেকটা থাকবে ২/৩/৪ বছরের জন্য।
মানুষ যদি চায়, সরকার এই জুনের মধ্যেই ইলেকশন দিয়ে বিদায় নিক।
আর মানুষ যদি চায় ১, ২ বা ৩ বছরও থাকতে পারে।
এই প্রসেস মোটেও নতুন না।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এই গণভোট সিস্টেমেই ক্ষমতার ম্যান্ডেট নিয়েছিলেন। আমরা পেয়েছিলাম আমাদের ইতিহাসের বেস্ট স্টেটসম্যানকে।
সবকিছুই কেন সুশীল সমাজ আর রাজনৈতিক দলের হাতে বর্গা দিতে হবে?
এসবের বাইরের সাধারণ মানুষের মতামত দেওয়ার ওয়েটা এখানে কই?
অথচ এই দেশ যতটা মির্জা ফখরুলের, যতটা নাহিদ ইসলামের, যতটা শফিকুর রহমানের, ততটাই আমার, ততটাই আপনার।
গণভোট এই জায়গাটা সমান কইরা দেবে।
অন্তত এতো এতো রক্ত দেওয়ার পর এখন তো অন্তত দেশের মালিকানায় সবার সমান হিস্যা হওয়া উচিত, নাকি?
আশা করি, এতে নির্বাচনপন্থী কোন দলের আপত্তির জায়গাটা থাকবে না।
-সাদিকুর রহমান খান
Похожие каналы





